সেপটিমিয়াস সেভেরাস (রা. ১৯৩ – ২১১ খ্রি.)
প্রকৃতপক্ষে, পেট্রিশিয়ানদেরকে কেবল গল্প শােনানাে বাদ দিয়ে তখন তাদের কথামতাে চালানাের জন্য অনেকটা বল প্রয়ােগ করতে হয়েছে। তাই প্লেবিয়ানরা যেখানে নিজেদের অফিস গড়ে তুলছিল সেখানে সম্ভ্রান্ত শ্রেণির পক্ষ থেকে একটি চুক্তিপত্র এসে পৌঁছল। প্লেবিয়ানরা নিজেদের মধ্যে ভােট দেয়ার মাধ্যমে অফিসের কর্মীদের নির্বাচিত করেছিল। নির্বাচনের সময়ে তারা রােমান কি না সেই বিষয়ের চেয়ে তারা বেশি জোর দিয়েছিল তারা সকলে নিম্নশ্রেণির কি না, সেই বিষয়ে সেখানে অফিসের কর্মচারীদের নাম দেয়া হয়েছিল ট্রিবিউনস (এই নামটি অতীতে ছিল একটি জাতির প্রধানদের জন্য)। তাদের লক্ষ্য ছিল প্লেবিয়ানদের অধিকার রক্ষা করা এবং উচ্চশ্রেণির মানুষেরা নিত্য নতুন আইনকানুন করে তাদের উপরে যেন কিছু চাপিয়ে দিতে না পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা। আর সত্যিই তারা কেবল “ভেটো” (“আমি নিষেধ করলাম”) উচ্চারণ করেই অনেক আইন বাতিল করার ক্ষমতা অর্জন করেছিল। ট্রিবিউনসের ভেটোকে উপেক্ষা করে রাজ্যের কনসল এবং সিনেট সে সময় অনেক আইনই পাশ করতে পারেনি।
গ্যালিয়েনাসের মৃত্যু ও সাম্রাজ্যের ত্রিধাবিভক্তি : ২৬৮ খ্রিস্টাব্দে, যখন গ্যালিয়েনাস তার বাহিনীর হাতে খুন হন, জেনােবিয়া এমন ভাব করেন যেন তিনি তার স্বামীর সূত্রে কেবল পালমিরার এবং পূর্বদিকের প্রদেশগুলাের শাসনের উত্তরাধিকারী নন, বরং তার ছােট ছেলের সূত্র ধরে তিনি সাম্রাজ্যের সম্রাজ্ঞীর আসনেরও হকদার। তিনি ততদিনে সিরিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছিলেন। এবারে বাহিনী নিয়ে মিশর এবং এশিয়া মাইনরের উদ্দেশে রওনা দেন। ২৭১ খ্রিস্টাব্দে তিনি নিজেকে সম্রাজ্ঞী এবং তার ছােট ছেলেকে সম্রাট ঘােষণা করেন। এভাবে রােমান সাম্রাজ্য তিনভাগে বিভক্ত হয়ে গেল। পশ্চিম এবং পূর্বদিকে প্রদেশ ছিল পুরােপুরি স্বাধীন। আর ঠিক মধ্যভাগে ইতালি কেবল মাঝখানের প্রদেশকেই নিয়ন্ত্রণ করত। মধ্যভাগে ছিল ইতালি নিজে, এছাড়া ইলিরিয়া, গ্রিস এবং আফ্রিকা। খুব স্বাভাবিকভাবেই সেখানকার অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল খুবই দুর্দশাগ্রস্ত। সেখানকার জনসংখ্যা স্মরণকালের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত কমে যাচ্ছিল। একটি প্রজন্মের নিজ হাতে ক্রমাগত ধ্বংস করার প্রক্রিয়ায় বিশাল সাম্রাজ্য দুর্বল একটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল। কোথাও এই অবস্থা থেকে মুক্তির কোনাে উপায় দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল না।
স্পেন, পারগামাম ও সেলুসিড সাম্রাজ্যের পরিণতি
শুধু তা-ই নয়, ফেব্রুয়ারী মাস ২৮ দিনে হওয়ার পেছনের কাহিনীটাও সিজারদের সাথে জড়িয়ে আছে। জুলাই মাস ছিল ৩১ দিনে, কিন্তু আগস্ট ছিল ৩০ দিনের। যেহেতু অগাস্টাস জুলিয়াসের চেয়ে কোনো অংশেই কম নন, তিনি ফেব্রুয়ারী মাস থেকে একদিন কেটে আগস্টের সাথে অতিরিক্ত একদিন যোগ করে সেটা ৩১ দিনের বানালেন!
১৪০২ সালে বলকানে কিছু এলাকা যেমন সেলোনিকা, মেসিডোনিয়া ও কসোভো উসমানীয়দের হাতছাড়া হয়। তবে সুলতান দ্বিতীয় মুরাদ ১৪৩০ এর দশক থেকে ১৪৫০ এর দশকের মধ্যে তা পুনরুদ্ধার করেন। ১৪৪৪ সালের ১০ নভেম্বর তিনি পোল্যান্ডের তৃতীয় লাডিস্লো ও জন হানয়াডির অধীন হাঙ্গেরিয়ান, পোলিশ ও ওয়ালিচিয়ান বাহিনীকে ভারনার যুদ্ধে পরাজিত করেন। এটি ভারনার ক্রুসেডের শেষ যুদ্ধ। তবে আলবেনীয়রা স্কেনডারবার্গের অধীনে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখে।[৬][৭] চার বছর পর, তুর্কিদের উপর আক্রমণ করার জন্য জন হানয়াডি হাঙ্গেরিয়ান ও ওয়ালাচিয়ানদের আরেকটি বাহিনী প্রস্তুত রোমান সাম্রাজ্যের উত্থান ও পতন করেন তবে ১৪৪৮ সালে কসোভোর দ্বিতীয় যুদ্ধে তিনি পরাজিত হন।[৮]
স্বর্ণযুগ : অগাস্টাসের সময়ে ইতালির যেসব জায়গায় শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেখানে রােমান সংস্কৃতি প্রস্ফুটিত হয়েছিল। অগাস্টাসের যুগে ল্যাটিন সাহিত্যে নতুন মাত্রা আসে। তার আগের সময়টা, যেখানে সিসেরাে ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই দুইয়ে মিলে অগাস্টাসের সময়টাই ছিল রােমের সংস্কৃতিতে স্বর্ণযুগ। অগাস্টাস নিজেও সাহিত্যের অনুরাগী ছিলেন আর লেখক সম্প্রদায়কে নানাভাবে উৎসাহিত করতেন।
কন্সটানটিনোপোলের মজবুত দুর্গ প্রায় ৮০০ বছর বাইজান্টাইনদের আগলে রেখেছিল মুসলিমদের আক্রমণ থেকে source:
রোম সাম্রাজ্যের উত্থান (২য় পর্ব): যমজ ভাইদের গল্প ও রোম প্রতিষ্ঠার মিথলজি
রােমে স্বৈরাচারী শাসনের অবসান হয়ে যার উদ্ভব হয়েছিল তা হলাে, গােষ্ঠীশাসন; সােজাকথায় বলতে গেলে শাসনভার গিয়ে পড়ল “বিশেষ কয়েকজন মানুষের উপরে, যারা সবাই ছিল রােমান সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্য অর্থাৎ পেট্রিশিয়ান। সিনেটর হতে হলেও একমাত্র তারা, কনসল, প্রিটরস এমনকি কোয়েসটরস হলেও তারাই। অবস্থাটা এমন দাঁড়াল যেন সত্যিকারের রােমান বলতে কেবল পেট্রিশিয়ানরাই। আর সে দেশে যে আরাে বিশাল সংখ্যক নিম্নশ্রেণির লোক বা প্লেবিয়ান ছিল, তারা যেন কেবল খামারে বা সেনাবাহিনিতে কাজ করারই উপযুক্ত ছিল, তারা কিছুতেই সরকারি কাজের জন্য যােগ্য ছিল না। এট্রুসকান আর ল্যাটিনদের সঙ্গে যুদ্ধের পরে বাস্তবে একটা ভয়াবহ সময় এসে পড়ল, তখন প্লেবিয়ানদের বিপদ অসহনীয় মাত্রায় বেড়ে গেল। খামারগুলাে উৎপাদন হারাল, খাবারের চালান গেল কমে, দরিদ্র লােকদের ঋণ বেড়ে আকাশচুম্বী হলাে, কিন্তু ক্ষমতায় থাকা সম্ভান্ত লােকেদের কোনাে টনক নড়ল না। আর পেট্রিশিয়ানদের সেদিকে নজর যাবেইবা কেন?
প্রথম কনস্ট্যান্টাইন (রা. ৩০৬ – ৩৩৭ খ্রি.)
ধীরে ধীরে পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্যের পতন ও বিভিন্ন রাজ্যসমূহের সৃষ্টি
অন্যান্য প্রকল্পে উইকিমিডিয়া কমন্স
শান্তিপূর্ণ শাসন, বাজে অর্থনৈতিক অবস্থা ও উলপিয়ান : সেভেরাস আলেক্সান্ডার মােটামুটি সৎ এবং শান্তিপূর্ণভাবে শাসনকাজ চালিয়ে গেছেন। রােমে অ্যান্টোনাইনদের আমলে যে শান্তি বজায় ছিল, তা ফিরিয়ে আনার কিছু চেষ্টা তিনি করেছিলেন। আলেক্সান্ডারের মা সিনেটর এবং আইনজীবীদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করেন যা সরকারকে সবরকম সহায়তা প্রদান করবে। এই কমিটির একজন সদস্য ছিল উলপিয়ান (ডমিশিয়াস উলপিয়ান), যিনি প্যাপিনিয়ানের সহকর্মী ছিলেন আর নিষ্ঠার সাথে সেপটিমিয়াস সেভেরাস এবং ক্যারাক্যালার অধীনে কাজ করেছিলেন। এলাগাবেলাসের সময় তাকে নিষিদ্ধ ঘােষণা করা হয়। কিন্তু তখন রাজ্য পরিচালনার প্রাথমিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য তাকে আবার ডেকে আনা হয়। যাই হােক, সময়কে তাে আর পেছনের দিকে ঘুরিয়ে দেয়া যায় না। অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গেল আর মুদ্রার মূল্যের অবনতি হলাে আরেকবার।